রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ১১:০৯

কলকাতায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় পুলিশ সদস্য দোষী, রায় ঘোষণা সোমবার

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ১৮, ২০২৫ ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
কলকাতায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় পুলিশ সদস্য দোষী, রায় ঘোষণা সোমবার

কলকাতায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় পুলিশ সদস্য দোষী, রায় ঘোষণা সোমবার

কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। শনিবার শিয়ালদহ জেলা বিচার বিভাগীয় আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাস এ রায় দেন। তবে চূড়ান্ত শাস্তি ঘোষণা হবে আগামী সোমবার।

২০২৩ সালের ৯ আগস্ট রাতে আর জি কর হাসপাতালের সেমিনারকক্ষে ওই নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। অভিযোগ ওঠে, তাঁকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরদিন পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। আদালতে সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও বিচারক তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন।

এদিকে এই মামলাকে ঘিরে কলকাতার চিকিৎসক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের স্থান নিয়ে পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদনের সঙ্গে ফরেনসিক রিপোর্টের অসঙ্গতি রয়েছে। ফরেনসিক বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল হিসেবে চিহ্নিত সেমিনারকক্ষে ধর্ষণ ও হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকদের দাবি, অন্য কোথাও এই অপরাধ ঘটিয়ে মরদেহ সেখানে ফেলে রাখা হয়।

এ ঘটনায় আন্দোলন চালিয়ে আসছেন চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন। গত বছরের অক্টোবরে ধরনা থেকে শুরু করে সিবিআই দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছেন তারা। সিবিআই তদন্তের নির্দেশে অধ্যক্ষ সন্দ্বীপ ঘোষসহ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।

দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য সিবিআই’র আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। অন্যদিকে, আসামির আইনজীবী বলেছেন, সর্বোচ্চ সাজা হলে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

এই ঘটনায় নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা পুনঃতদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের না করা পর্যন্ত তাঁরা শান্ত হবেন না। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ মার্চ।

এই রায়ের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটলেও এই জঘন্য অপরাধে জড়িত অন্যদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে লড়াই অব্যাহত রেখেছে নিহত চিকিৎসকের পরিবার ও চিকিৎসক সমাজ।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ