আর্থিক খাতে সংস্কারের জন্য বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কর অব্যাহতি কমানোর পরিকল্পনার কথা আবারও উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এবং এ বিষয়ে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারের নেতৃত্বে একটি দল সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংককে জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশ আরও বেশি রাজস্ব সংগ্রহ করবে এবং কর অব্যাহতি কমাবে। একই সঙ্গে আগামী জুনের মধ্যে নতুন অর্থ আইন প্রণয়ন করা হবে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় পৌনে তিন লাখ কোটি টাকার শুল্ক-কর ছাড় দেওয়া হয়, যার মধ্যে ভ্যাট ও শুল্ক ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে করছাড় রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংক দীর্ঘদিন ধরেই করছাড় প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে এবং তারা চায়, ২০২৭ সালের ১ জুলাইয়ের মধ্যে এই ছাড়গুলো ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হোক।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত ৫০ বছর ধরে আমরা করছাড় দিয়ে এসেছি, এখন সময় এসেছে এই ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করার।’ আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি এবং করছাড় কমানোর প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের আর্থিক পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো।
বৈঠক শেষে মার্টিন রেইজার সাংবাদিকদের জানান, সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অদূর ভবিষ্যতে করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা করা হবে এবং এটি আগামী বাজেটের আগে বাস্তবায়িত হবে।