বাংলাদেশের জ্বালানি বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা এবং বিপিসির (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এখন থেকে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সুবিধা বৃদ্ধি করতে হলে জ্বালানি বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। যদিও এই নতুন নিয়মে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষুব্ধ, তবে প্রকাশ্যে তারা কিছু বলছেন না। তারা অভিযোগ করছেন, এই নির্দেশনা তাদের সুবিধা কমানোর জন্যই দেওয়া হয়েছে এবং এটি একটি তোষণমূলক পদক্ষেপ।
সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশেষভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সরকারের হাতে রয়েছে, এবং গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন, সঞ্চালন ও বিতরণও সরকারের পরিচালনায়। এছাড়া, এলএনজি আমদানি ও সরবরাহও সরকারি কোম্পানিগুলি করে থাকে।
সরকার যেহেতু উৎপাদন খাতে ভর্তুকি দেয়, তবে বিতরণ এবং সঞ্চালনে কোনো ভর্তুকি নেই, ফলে প্রতিটি কোম্পানি বিশাল মুনাফা করছে। কোম্পানির মুনাফা বণ্টন করে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছরে বেতন-ভাতার তুলনায় আরও বেশি অর্থ প্রফিট বোনাস হিসেবে পান। যদিও কিছু কোম্পানি এই প্রফিট বোনাস দেওয়ার বিপক্ষে, এটি কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রাপ্য হয়ে থাকে।
সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পেট্রোবাংলা বা বিপিসির আওতাধীন কোনো কোম্পানির কর্মচারীদের সুবিধা বৃদ্ধি বা নতুন সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব পেট্রোবাংলা বা বিপিসির মাধ্যমে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। এই নির্দেশনা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ জানান, আগে কোম্পানির বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে সুবিধা দেওয়া হতো, যেখানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও ছিলেন। এখন থেকে এই নতুন প্রক্রিয়ায় পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি বিভাগের অনুমতি নেওয়া হবে।