কমেছে বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা, উদ্বেগে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
ভারত-বাংলাদেশের বর্তমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের ফলে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্ত বাণিজ্য এবং দুই দেশের পর্যটকদের যাতায়াতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দুই পাড়ের ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত একই সংকট। এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে কলকাতার নিউ মার্কেটের অলিগলিতেও। উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল, বসিরহাট মহকুমার ঘোজাডাঙ্গা এবং অন্যান্য সীমান্তে আমদানি-রপ্তানি, ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ, হোটেল ও পরিবহন ব্যবসা কার্যত বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
বর্তমানে সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করছেন কেবল পূর্বে ভিসা নেওয়া কিছু পর্যটক। তবে তাদের সংখ্যাও নিতান্তই কম। ঘোজাডাঙ্গা ও ভোমরা সীমান্ত দিয়ে আগে যেখানে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করত, সেখানে বর্তমানে এই সংখ্যা নেমে এসেছে একশ’র নিচে। এর ফলে সীমান্ত অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
পণ্য পরিবহনের এই সংকটের কারণে দুই বাংলায় লোডিং-আনলোডিংয়ের হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। পাশাপাশি, ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ও ধস নেমেছে। আগে যেখানে ১০০ বাংলাদেশি টাকায় ৭২-৭৫ রুপি পাওয়া যেত, বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৬৯ রুপিতে।
ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের আমদানি-রপ্তানি সংস্থার সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল জানান, ডলারের বাড়তি দরের কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রপ্তানিতে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এছাড়া পণ্য রপ্তানির পেমেন্ট সময়মতো না আসায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে বনগাঁর পেট্রাপোল, কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা, এবং অন্যান্য সীমান্তেও। এই অচলাবস্থা কবে কাটবে তা নিয়ে সীমান্তের ব্যবসায়ীরা উদ্বেগে রয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সীমান্ত এলাকার অর্থনীতি আরও বড় সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।