অতিরিক্ত ওজন নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই সুস্থ থাকতে ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনেকেই ডায়েট করেন। তবে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মেনে চলার পরও ওজন না কমলে হতাশা আসতে পারে। এর পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে—
দ্রুত ফলাফলের আশা: অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, যা বাস্তবসম্মত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র ২-৩ মাসে ১৫-২০ কেজি ওজন কমানোর পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়।
অপ্রাসঙ্গিক ডায়েট অনুসরণ: অনলাইনে পাওয়া যেকোনো ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করলেই ওজন কমবে—এমন ধারণা ভুল। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা না করে ডায়েট করলে তা ক্ষতির কারণও হতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: নিয়মিত ঘুম না হলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
ব্যক্তিগত রুটিনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ডায়েট: সবার জীবনধারা ভিন্ন। যদি ডায়েট পরিকল্পনা ব্যক্তিগত রুটিন অনুযায়ী তৈরি না হয়, তবে তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হবে না।
অতি কঠোর ডায়েট: যেমন কেটো ডায়েট অনেকের জন্য কার্যকর হলেও এটি সবার জন্য নয়। দীর্ঘমেয়াদে ভারসাম্য বজায় না রেখে ডায়েট করলে তা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ব্যায়ামের অভাব: ডায়েটের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন।
পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ না করা: শরীরে পানির অভাব থাকলে বিপাকীয় কার্যক্রম ধীর হয়ে যায়, ফলে ওজন কমতে সময় লাগে।
হরমোনজনিত সমস্যা: থাইরয়েড বা অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকলে ডায়েট করেও ওজন কমতে দেরি হতে পারে।
সঠিক মানসিক প্রস্তুতির অভাব: ওজন কমানো কেবল একটি অভ্যাস নয়, এটি একটি জীবনধারা। এর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা জরুরি।
সুতরাং, ডায়েটের পাশাপাশি ব্যায়াম, ঘুম, পানি গ্রহণ ও ব্যক্তিগত উপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই ওজন কমানোর লক্ষ্য সফলভাবে অর্জন করা সম্ভব।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ও হেলথলাইন
4o