এরদোগানের প্রশংসা, ট্রাম্পের মতে সিরিয়ার চাবি তুরস্কের হাতে
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ অনেকটাই তুরস্কের হাতে নির্ভর করছে। স্থানীয় সময় সোমবার ফ্লোরিডার মার-ই-লাগোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ট্রাম্প সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতনকে একটি “বন্ধুহীন দখল” বলে উল্লেখ করে তুরস্কের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, “আঙ্কারা অত্যন্ত কৌশলীভাবে বিপুল প্রাণহানি এড়িয়ে সিরিয়ায় একটি ক্ষমতার দখল সম্পন্ন করেছে।” আসাদকে “কসাই” আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, আসাদ শিশুদের ওপর নির্যাতন করেও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধে আসাদবিরোধীদের সমর্থন দিয়ে আসছিল তুরস্ক, আর আসাদের পক্ষে ছিল রাশিয়া ও ইরান। কিন্তু আসাদের ক্ষমতা হারানোয় মস্কো ও তেহরান বড় ধরনের কূটনৈতিক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে আসাদ সপরিবারে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আট দিন পর এক বিবৃতিতে আসাদ জানান, “দেশ ছেড়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে পরম মিত্র রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুরোধে দেশত্যাগ করেছি।”
ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে, ভবিষ্যতে সিরিয়ার নীতিনির্ধারণে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, “তুরস্কের মাধ্যমে সিরিয়ার পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে ওয়াশিংটন।” এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, “যাদের লড়াই, তাদেরকেই লড়তে দেওয়া উচিত।”
সিরিয়ার নতুন শাসক আহমেদ হুসাইন আল-শারার, যিনি আল-জোলানি নামে পরিচিত, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা কথা বলতে চাই এবং জাতিসংঘের সিরিয়া সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাব সংশোধন করা প্রয়োজন।”
৭ ডিসেম্বর বিদ্রোহী গোষ্ঠী দামেস্কসহ সিরিয়ার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে। ১০ ডিসেম্বর মোহাম্মদ আল-বশির সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠনের ঘোষণা দেন, যা ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।
সূত্র: ইউকে স্ট্যান্ডার্ড, আল-জাজিরা, তাস।