মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| সকাল ৯:০২

এবার মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল চীন

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ১১, ২০২৫ ৭:৫০ অপরাহ্ণ
এবার মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল চীন

এবার মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল চীন

চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া বক্তব্যে মুখপাত্র বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের ওপর যে অত্যধিক শুল্ক আরোপ করছে, তা একটি সংখ্যার খেলা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর কোনো বাস্তব অর্থনৈতিক তাৎপর্য নেই।” তিনি অভিযোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্র শুল্ককে হুমকি ও বলপ্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যা শেষ পর্যন্ত বিশ্বের কাছে তাদের হাস্যকর করে তুলবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি এই শুল্ক খেলায় মেতে থাকে, তাহলে চীন তাতে যোগ দেবে না। তবে আমাদের জাতীয় স্বার্থে কোনো আঘাত এলে আমরা দৃঢ়ভাবে পাল্টা জবাব দেব এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।”

এই বাণিজ্য উত্তেজনার শুরুটা হয়েছে এ বছরের মার্চে। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এরপর গত ২ এপ্রিল তিনি শুল্ক বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশ করার ঘোষণা দেন। জবাবে চীন পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে। এতে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প গত ৭ এপ্রিল তাঁর সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ বলেন, “বেইজিং যদি ৮ এপ্রিলের মধ্যে তাদের শুল্ক তুলে না নেয়, তাহলে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে।” চীন এই হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায় গত ৯ এপ্রিল থেকে শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করা হয়।

এরপর গত ৮ এপ্রিল চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ট্রাম্পের ‘অপমানজনক’ শুল্ক নীতি অব্যাহত থাকলে তারা শেষ পর্যন্ত লড়বে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল তারা মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করে। কিন্তু ট্রাম্প থেমে থাকেননি। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় তিনি চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ান। সর্বশেষ গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শুল্ক ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চীন মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেয়।

এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক বৃদ্ধি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উত্তেজনা শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি বিশ্ব বাণিজ্য, সরবরাহ শৃঙ্খল এবং পণ্যের দামের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশের মতো দেশ, যারা উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্যও এটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
খাবারের আগে দই খাওয়া: উপকারিতা ও করণীয়

খাবারের আগে দই খাওয়া: উপকারিতা ও করণীয়

নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করলেন ট্রাম্প

নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করলেন ট্রাম্প

কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানব পাচার ও স্ট্যাম্প জালিয়াতির অভিযোগে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে।

কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানব পাচার ও স্ট্যাম্প জালিয়াতির অভিযোগে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিঃসন্দেহে মৃত্যুর পরও জীবন আছে, দাবি মার্কিন গবেষকের

কয়েক শ যুদ্ধবন্দী বিনিময় করল রাশিয়া ও ইউক্রেন

গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বিদ্যুৎহীনতা

গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বিদ্যুৎহীনতা

দেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান: মির্জা ফখরুল

গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর, তুরস্ক ইস্যুতেও স্পষ্ট বার্তা গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস বলেছেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং সেখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু। সেদিন দেওয়া এক বক্তব্যে মিতসোতাকিস বলেন, “গত কিছুদিনে গাজায় যা ঘটছে তা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ইসরায়েলকে অবিলম্বে এসব অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবিক সংস্থাকে সহায়তা দিতে হবে, যাতে দ্রুত খাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী গাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।” তিনি স্বীকার করেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধ নিয়ে নীরব থাকার কারণে গ্রিস সরকার জনসমালোচনার মুখে পড়েছে, এমনকি বিরোধী দলগুলোরও তীব্র সমালোচনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা নীরব নই। গ্রিস ও ইসরায়েলের কৌশলগত মিত্রতা থাকলেও আমাদের অবশ্যই মিত্রদের কাছে কঠিন সত্যগুলো বলতে হবে।” এছাড়াও তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের “রিআর্ম ইউরোপ” কর্মসূচিতে তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন। যদিও গ্রীস ও গ্রীক-সাইপ্রাস প্রশাসন এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে, তথাপি ইউরোপীয় কমিশনের আলোচনায় তুরস্কের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এ বিষয়ে মিতসোতাকিস বলেন, “এই মুহূর্তে ব্রাসেলসে কী আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে অনেক ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। কোনো তৃতীয় দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে গেলে—বিশেষ করে প্রার্থী দেশের ক্ষেত্রে—সকল ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতি প্রয়োজন। গ্রিস ও সাইপ্রাসের যুক্তিসংগত উদ্বেগ অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।” তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা একদিকে গ্রিসের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি, অন্যদিকে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছি। এই সম্পর্ক ইতোমধ্যে অভিবাসন, পর্যটন ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল দিচ্ছে।” তিনি জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে শিগগিরই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পরিষদের অধীনে একটি বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।

গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর, তুরস্ক ইস্যুতেও স্পষ্ট বার্তা

আজকের আবহাওয়া (৩০ জুন, ২০২৫)

আজকের আবহাওয়া (৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)

হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে জনস্রোত, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কঠোর নিরাপত্তা

হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে জনস্রোত, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কঠোর নিরাপত্তা