মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে এক দেশকে লক্ষ্য করে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি শনিবার (২২ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের সরকারি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল হামলা চালাবে। ইরানের মিত্র এ গোষ্ঠীকে হুমকি দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, তাদের সন্ত্রাসী অস্ত্রের বিরুদ্ধে সমান শক্তি দিয়ে হামলা চালানো হবে।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের মাধ্যমে ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠী হুতিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসী পদক্ষেপের ইঙ্গিত মেলে। এটি ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রথম হামলা নয়, বরং কয়েক মাস আগে তেল আবিবে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই হুমকি দেয়া হয়। নেতানিয়াহু বলেছেন, হুতিদের অস্ত্র এবং তাদের কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে, বিশেষত বিশ্বজাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার জন্য।
নেতানিয়াহুর এই ঘোষণার পর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন ইরানের বিরুদ্ধে একটি সফল হামলার উপযুক্ত সময়। তারা মনে করেন যে, ইয়েমেনের ওপর হামলা চালানোর চেয়ে ইরানে হামলা করা আরও কার্যকর হতে পারে।
এদিকে, উত্তর ইসরায়েলের সাফেদ শহরে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক ভিডিও বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল একা নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনও অতীতে হুতিদের বিরুদ্ধে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশও হুতিদের বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখছে এবং তাদের কার্যকলাপ সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
এ বক্তব্যে নেতানিয়াহু হুতিদের প্রতি ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এবং এই হামলার পরিণতির বিষয়ে কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।