এইচএমপিভি ভাইরাস: আতঙ্ক নয়, সচেতনতা জরুরি
চীন ও জাপানে ঠান্ডাজনিত রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে দ্য হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি)। জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ উপসর্গের মাধ্যমে শুরু হলেও, গুরুতর অবস্থায় এটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি:
চীনে এইচএমপিভির প্রকোপ বাড়ছে, যেখানে করোনাকালের মতো হাসপাতালগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। জাপানেও সাত লাখের বেশি মানুষ ঠান্ডাজনিত সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা সংশ্লিষ্ট সরকারগুলো এখনো বিশেষ সতর্কতা জারি করেনি। সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালে জরুরি অবস্থা জারির আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা:
জনস্বাস্থ্যবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এইচএমপিভি প্রায় দুই দশক ধরে রয়েছে। ২০০০-২০০১ সালে ঢাকার কমলাপুরে আইসিডিডিআরবি পরিচালিত একটি গবেষণায় প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। এটি মূলত শিশুদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভূমিকা রাখে। ২০১৪-২০১৬ সালেও ঢাকায় এই ভাইরাস পাওয়া গেছে।
জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “এইচএমপিভি ভাইরাস বাংলাদেশে একটি সাধারণ নৈমিত্তিক রোগ। এটি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেতন থাকা জরুরি।”
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন জানান, “এইচএমপিভি নতুন কিছু নয়। এটি নিউমোনিয়ার মতো হতে পারে, তবে করোনাভাইরাসের মতো প্রাণঘাতী নয়। সংক্রমণ সীমিত রাখলে এর ঝুঁকি কম।”
প্রতিরোধে করণীয়:
করোনা মোকাবিলার মতো সতর্কতাই এইচএমপিভি প্রতিরোধে কার্যকর।
- মাস্ক ব্যবহার করা
- নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া
- অপরিষ্কার হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা
- আক্রান্তদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা
এই ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।