‘ইসরায়েল কথা রাখলে’ শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে জিম্মিদের
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস চায় না যে ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাক। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, চুক্তিটি কার্যকর রাখতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। সূত্রের দাবি, যদি দখলদার ইসরায়েল তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, তাহলে হামাস আগামী শনিবার তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চুক্তি পূর্ণভাবে কার্যকর করতে এবং মানবিক শর্তগুলো বাস্তবায়ন করতে ইসরায়েলের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করছে মধ্যস্থতাকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলা এবং গাজায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রবেশের অনুমতি দেওয়া।
গত ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এবং ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য ভারী সরঞ্জাম পাঠানো হবে। কিন্তু ইসরায়েল চুক্তির এসব শর্ত পালন করেনি। নির্ধারিত পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি, এবং ধ্বংসস্তূপ সরানোর প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও এখনো আসেনি। বরং যুদ্ধবিরতির এক মাস পার হয়ে গেলেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়ে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
চুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিবাদে গত সোমবার হামাস জানিয়ে দেয়, তারা পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার জিম্মিদের মুক্তি দেবে না। এতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। তবে মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তি রক্ষা করতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি সূত্র জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন যে, বৃহস্পতিবার থেকে নতুন একটি মানবিক প্রটোকল কার্যকর হবে। আরেকটি সূত্র জানায়, হামাস মিশরীয় কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করেছে যে, যদি ইসরায়েল তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, তাহলে শনিবার ষষ্ঠ দফার জিম্মি বিনিময় হবে।
প্রথম সূত্রটি আরও জানায়, ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি পূরণে রাজি হলেই গাজায় ত্রাণ সামগ্রী, অস্থায়ী ঘর, তাঁবু, জ্বালানি, ভারী যন্ত্রপাতি, ওষুধ এবং হাসপাতাল সংস্কারের প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
(সূত্র: এএফপি)