ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক অভিযানের ঘোষণায় তারা ভীত নয় এবং হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২৪ ডিসেম্বর আলজাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলি আইনপ্রণেতাদের জানিয়েছিলেন, তিনি দেশটির সেনাবাহিনীকে ইয়েমেনে হুতি অবকাঠামো ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘোষণার পর হুতি কর্মকর্তারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবে না বলে ঘোষণা করেন। হুতির সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য হেজাম আল-আসাদ এক বার্তায় বলেন, "নেতানিয়াহু জানবেন, নতুন মধ্যপ্রাচ্যের স্বপ্ন তার জন্য শাস্তি ছাড়া কিছুই নয়।"
হুতিরা গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতে চাচ্ছে। তারা ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো এ নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে, নেতানিয়াহু ইসরায়েলি জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন যে, ইসরায়েল হুতিদের বিরুদ্ধে হামলা চালাবে এবং ইরানের মিত্র এই গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী অস্ত্রের বিরুদ্ধে সমান শক্তি প্রয়োগ করবে। তিনি বলেন, "আমরা হুতিদের বিরুদ্ধে একা নই। যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটিশ বাহিনী অতীতে বারবার হুতির বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে।"
নেতানিয়াহু আরও বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ আমাদের মতো হুতিদের হুমকি হিসেবে দেখে। এটা শুধু বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলের জন্য নয়, বরং বিশ্বব্যবস্থার জন্যও বিপজ্জনক।" এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি হুতির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতানিয়াহুর বক্তব্য ইরানের মিত্র গোষ্ঠী হুতির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়। চলতি সপ্তাহে, তেল আবিবে হুতিরা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে নেতানিয়াহু আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।