ইসরায়েলের হামলায় বন্ধ হয়ে গেছে উত্তর গাজার শেষ হাসপাতালটিও
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার শেষ হাসপাতাল কামাল আদওয়ান পুরোপুরি কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল শুক্রবার হাসপাতালটিতে হামলা চালানো হয়। এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হাসপাতালের কিছু অংশে আগুন ধরে যায়, যা হাসপাতালের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ পুড়িয়ে দেয় এবং ধ্বংস করে ফেলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযান হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, অভিযানে হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা বিভাগ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পুরো স্থাপনাটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়াসহ কয়েক ডজন চিকিৎসক ও কর্মীকে আটক করে তাদের একটি তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে গেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, হাসপাতালটি হামাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই হামলা একটি সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ। যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশের সহযোগিতায় গাজায় সংঘটিত এই যুদ্ধাপরাধের জন্য দখলদার ইসরায়েলি সরকার দায়ী। এ দেশগুলো চলমান গণহত্যার অংশীদার।”
কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলার ঘটনায় সৌদি আরব ও জর্ডান তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের অভিযান মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য, এই হামলার ফলে গাজার উত্তরাঞ্চলের লাখো মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এমন হামলাকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে দেখছে।