ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তুরস্কের। সিরিয়ায় চলমান পরিস্থিতি এবং তুরস্কের সামরিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে আঙ্কারা।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, তুরস্ক চায় একটি স্থিতিশীল ও একীভূত সিরিয়া। সিরিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই তারা কাজ করছে। সিরিয়ার মাটিতে তুরস্কের পদক্ষেপ ইসরায়েলের জন্য হুমকি নয় বলেও বার্তা দিয়েছে আঙ্কারা।
তুরস্কের লক্ষ্য হলো সিরিয়ায় গণতান্ত্রিক ও একীভূত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। একই সঙ্গে কুর্দি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টাকে রোধ করা। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো তুরস্কের লক্ষ্যকে বিপরীত দিকে নিয়ে যাবে।
তুরস্ক ও ইসরায়েল উভয়ই মার্কিন মিত্র হওয়ায় এবং দীর্ঘ ইতিহাসে কখনো সামরিক সংঘাতে না জড়ানোয় এই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
তুরস্কের সেনাবাহিনী সিরিয়ায় তাদের ভূমিকা সীমিত রেখেছে। দামেস্ক ও হামার বাইরের এলাকাগুলোতেই তারা সক্রিয় থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
তুরস্কের এই কৌশলগত অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে তারা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায় এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো বৈরী সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী নয়।