ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সোমবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার কিছু সময় পরেই ডিস্ট্রিক্ট থ্রি নামে পরিচিত এই আবাসিক এলাকাটিতে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অঞ্চলটি কেবল ঘনবসতিপূর্ণই নয়, এখানে রয়েছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, কূটনৈতিক আবাস এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবন।
ইরানি সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিকেলের দিকে এক ঘোষণাবার্তায় পূর্ব তেহরানের বাসিন্দাদের সতর্ক করে জানায়— “সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই এলাকায় ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হবে। বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে সরে যান।” এরপরই শুরু হয় বিমান হামলা।
এই হামলায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এলাকাটি যেহেতু বেসামরিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রবল।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন শুক্রবার ভোর থেকে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা শুরু করে, যা এখনো চলমান। চারদিনের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, আইডিএফের সতর্কবার্তার কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তেহরানের বাসিন্দাদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি দেন, যেখানে তিনি সবাইকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তার এই ঘোষণাও পরিস্থিতির আরও অবনতি এবং সম্ভাব্য বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই উত্তেজনা শুধু ইসরায়েল-ইরান নয়, বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্যও একটি গুরুতর হুমকি হয়ে উঠছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি