ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৬৪, যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের গ্যারান্টি চায় হামাস
গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলায় শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আরও অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, খান ইউনিস, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ বিভিন্ন এলাকায় চালানো হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে আলোচনার চলমান অবস্থার মধ্যেও ইসরায়েলি সেনারা বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে ‘ব্যক্তিগত গ্যারান্টি’ চায় হামাস। হামাসের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল-কে বলেন, “আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক জবাব দিয়েছি। শিগগিরই নতুন আলোচনা শুরু হবে, যেখানে ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার এবং যুদ্ধ চিরতরে বন্ধ করার বিষয়টি মুখ্য হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যে গ্যারান্টি আমরা চাই, সেটি শুধু একজনের কাছ থেকেই গ্রহণযোগ্য— প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। অন্য কারও গ্যারান্টি আমরা চাই না।”
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার সম্মিলিতভাবে ৬০ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, যা আগের ব্যর্থ আলোচনাগুলোর তুলনায় কিছুটা অগ্রগতি দেখাচ্ছে। হামাস এ প্রস্তাবে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হয়, তারা ১০ জন জীবিত এবং ১৮ জন মৃত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেবে।
গাজায় চলমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা, আর বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা কিছুটা আশার আলো দেখালেও তা কতটা বাস্তবায়নযোগ্য হবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।