গত ২৩ জুন এই হামলা চালানো হয়, যা ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের সংঘর্ষের পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির আগের সময়ের ঘটনা ছিল। নিহতদের মধ্যে ছিলেন কারাগারের প্রশাসনিক কর্মীরা, আটক বন্দি, সেনাবাহিনীতে কর্মরত তরুণরা, বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে আসা তাদের পরিবারের সদস্য এবং আশপাশের সাধারণ বাসিন্দারা।
ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, এভিন কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি অংশ এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত ও নিহতদের ছাড়াও বেঁচে থাকা বন্দিদের তেহরানের অন্যান্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এভিন কারাগারে বহু বিদেশি নাগরিকও বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই ফরাসি নাগরিক — সেসিল কোলার ও জ্যাক প্যারিস। তারা তিন বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। হামলার পর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো এই হামলার কারণে তাদের জীবনহানির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইরান দাবি করছে, এই হামলা শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনাকেই লক্ষ্য করেনি, বরং রাজনৈতিক ও প্রতীকী প্রতিষ্ঠানগুলোও লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সংঘর্ষে ইরানে মোট ৬১০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৩ শিশু ও ৪৯ নারী রয়েছেন।