মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ইরানের ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ নেওয়ার প্রথম দিনেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করে আলোচনার ঝড় তোলেন তিনি। চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর এবার তার প্রশাসন নজর দিয়েছে তেহরানের দিকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা দেশটির অর্থনীতির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের তেল নেটওয়ার্ককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ইরানি ফার্ম, শিপিং কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাইডেন প্রশাসনের সময়ও নিষিদ্ধ ছিল, তবে এবার আরও কঠোরভাবে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরান সরকার তেল রাজস্ব ব্যবহার করে তার পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মনুষ্যবিহীন আকাশযান তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে তারা আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকেও সহায়তা করছে। এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহের যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।’
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করবে। প্রথম মেয়াদে তিনি ২০১৮ সালে একতরফাভাবে ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন এবং দেশটির ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি আবারও ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেন, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কে আরও উত্তেজনা বাড়াতে পারে।