ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ গোষ্ঠীর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরাইলের সব হিসাব পালটে দিয়েছে। সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইল যখন আনন্দিত ছিল, ঠিক তখনই ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ গোষ্ঠী তাদের অধিকৃত ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
আইআরজিসির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি মোহাম্মদ নায়েনী বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইসরাইলের সিরিয়া ও ইয়েমেনের ওপর আগ্রাসন এবং দখলকৃত অঞ্চলে ইয়েমেনের ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তাদের সকল পরিকল্পনা পরিবর্তন করে দিয়েছে।
নায়েনী আরও বলেন, "ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ গোষ্ঠীর শক্তিশালী পদক্ষেপগুলি দেখিয়েছে যে, প্রতিরোধ ফ্রন্ট এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল এবং স্বাধীন। তারা দখলদার ইসরাইলের অপরাধের দাঁতভাঙা জবাব দিতে সক্ষম।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, গ্লোবাল মিডিয়া ইসরাইলবিরোধী প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে এবং তাদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করার জন্য প্রচার চালাচ্ছে।
আইআরজিসি কমান্ডার এই প্রচারাভিযানকে সৃজনশীল উপায়ে মোকাবেলা করার জন্য একটি ব্যাপক মিডিয়া ফ্রন্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
এদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে অন্তত ৪৫,৩৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। দখলদার ইসরাইলি শাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতি ইয়েমেন প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে এবং ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য-সম্পর্কিত জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী ঘোষণা করেছে, গাজার ওপর ইসরাইলের স্থল ও বিমান হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে। বুধবার ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী গাজার প্রতি সমর্থন জানিয়ে দখলকৃত ইসরাইলি অঞ্চলের একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা ছিল দুই দিনের মধ্যে দ্বিতীয় আক্রমণ।
এই অভিযানে প্যালেস্টাইন-২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হয়, যা তেলআবিবের একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে এবং ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত করে।