ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৫: গ্রামীণ পর্যায়ে উদ্ভাবন ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান
ইনোভেশনের সুফল নিশ্চিত করতে হলে তা গ্রামগঞ্জের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ইনোভেশন যত বেশি পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদান হবে, তত বেশি সফলতা অর্জন করবে।
বুধবার বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য মাঠ পর্যায় থেকে ইনোভেটিভ আইডিয়া সংগ্রহ করা জরুরি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের বিষয়ে সচেতন করা গেলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। তিনি সকল দপ্তর ও সংস্থাকে আরও বেশি উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করার আহ্বান জানান। নারী-উদ্ভাবকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পান্তা ভাত সংরক্ষণে পানি ব্যবহারের ধারণা কিংবা লেবুপাতা দিয়ে পঁচা মাছ খাওয়ার উপযোগী করার ধারণা নারীদের মাধ্যমেই এসেছে, তাই ইনোভেশন কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব ও চিফ ইনোভেশন অফিসার ইমাম উদ্দীন কবীর। তিনি বলেন, দপ্তর-সংস্থাগুলো নিয়মিত ইনোভেশন নিয়ে কাজ করলে সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজেই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক রশিদুল মান্নাফ কবীর।
এবারের ইনোভেশন শোকেসিং-এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন আটটি দপ্তর ও সংস্থা মোট ৩০টি উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১১টি, মৎস্য অধিদপ্তরের ১০টি, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩টি, ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ২টি, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২টি, তথ্য দপ্তরের ১টি এবং মেরিন ফিশারি একাডেমির ১টি ইনোভেশন প্রদর্শিত হয়।