মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে শোষণ করার উদ্দেশ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গঠিত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ইইউ বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে এসেছে। এ অবস্থায় ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার এক বক্তব্যে ট্রাম্প ইইউয়ের কঠোর সমালোচনা করেন এবং ২৭ সদস্যের এই ব্লকের দেশগুলোর রপ্তানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রকে শোষণ করার জন্যই ইইউ তৈরি হয়েছে এবং তারা এই কাজটি খুব দক্ষতার সঙ্গে করেছে। তবে এখন আমি প্রেসিডেন্ট। তারা আমাদের গাড়ি এবং কৃষিজাত পণ্য গ্রহণ করে না, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমাদের বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ফলে আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।"
ট্রাম্প আরও জানান, "খুব শিগগিরই গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের ওপর নতুন আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে।"
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সফরের আগে, এবং সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইইউ যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
বর্তমানে ইইউ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয় ৫৫৩.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ইইউতে রপ্তানি করে ৩৫০.৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার।
সম্প্রতি, ১৩ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমদানি শুল্ক সমতা আনতে অন্যান্য দেশগুলোর ওপর "পারস্পরিক শুল্ক" বাধ্যতামূলক করা হবে। ট্রাম্পের এই নতুন বাণিজ্য নীতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।