ইউক্রেন যুদ্ধে যেকোনও উপায় ব্যবহার করতে প্রস্তুত থাকার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পশ্চিমাদের সতর্ক করতে চেয়েছিল মস্কো। তিনি আরও জানান, রাশিয়া যেকোনো ধরনের "কৌশলগত পরাজয়" রোধে সর্বোচ্চ প্রস্তুত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ল্যাভরভ উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা কিয়েভ সরকারকে দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ করছে, যা রাশিয়ার জন্য হুমকি। তিনি বলেন, “তারা যদি রাশিয়ার কৌশলগত পরাজয়ের পরিকল্পনা করে, তবে আমরা যেকোনো উপায় ব্যবহার করব তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে।”
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত মাসে ডিনিপ্রো শহরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়। এটিকে "অপ্রতিরোধ্য" অস্ত্র হিসেবে অভিহিত করে পুতিন বলেন, প্রয়োজনে যুদ্ধক্ষেত্রে এর আরও বিস্তৃত ব্যবহার হবে।
ল্যাভরভ আরও জানান, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলার আগে রাশিয়ার নিরাপত্তার বিষয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়। তিনি দাবি করেন, "আমরা এই যুদ্ধ শুরু করিনি। ন্যাটো আমাদের সীমান্তে সম্প্রসারণের মাধ্যমে সমস্যা তৈরি করছে।"
রাশিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধ তাদের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। পূর্ব ইউক্রেনের রুশভাষীদের রক্ষা এবং কিয়েভের নেতৃত্বকে "নাৎসিমুক্ত" করার লক্ষ্যে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। যদিও পশ্চিমারা এটিকে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বলে উল্লেখ করে।
রাশিয়া এবং তার মিত্র বেলারুশ থেকে সীমান্তে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে পুতিন ইউক্রেনের প্রতি শক্ত অবস্থান হিসেবে চিত্রিত করেছেন। তবে পশ্চিমা নেতারা মস্কোকে বারবার সংঘাত এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা রাশিয়া উপেক্ষা করেছে বলে অভিযোগ।
ল্যাভরভ ইউক্রেনের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে আলোচনার সুযোগ থাকলেও কিয়েভ সেগুলি কাজে লাগায়নি। ফলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।