ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে রিয়াদে বৈঠকে বসছেন ল্যাভরভ-রুবিও
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবে বৈঠকে বসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তাদের এই বৈঠককে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন সৌদি বৈঠকের প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সোমবার রিয়াদের আল-ইয়ামামাহ প্রাসাদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে স্বাগত জানান। এই বৈঠকে তারা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এরপরই রুবিও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর পর থেকে এই বৈঠকটিকে দুই দেশের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনা হিসেবে ধরা হচ্ছে। বৈঠকের মূল লক্ষ্য ইউক্রেন সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের উপায় খোঁজা।
মার্কিন প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। উইটকফ একজন ধনকুবের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, যিনি আন্তর্জাতিক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
রুশ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ক্রেমলিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কূটনৈতিক নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে আসছেন।
ওয়াশিংটন বলছে, এই বৈঠক মস্কোর যুদ্ধ বন্ধের ইচ্ছার সত্যতা যাচাইয়ের ‘প্রথম পদক্ষেপ’ হতে পারে, তবে এটিকে আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা হিসেবে দেখা উচিত নয়। অন্যদিকে, রাশিয়া দাবি করছে, এই আলোচনার মূল লক্ষ্য ইউক্রেন সংকটের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা।
বিশ্ব কূটনীতিতে এই বৈঠককে একটি সম্ভাবনাময় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আলোচনার ফলাফল ইউক্রেন সংকটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে এই আলোচনা থেকে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ চুক্তি আসবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।