ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আশা আরও একটি হতাশাজনক অবস্থায় পড়েছে, যখন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, এই স্বপ্ন বাস্তবে পূর্ণ হওয়ার মতো নয়।
১২ ফেব্রুয়ারি, ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে হেগসেথ বলেন, “আমরা চাই ইউক্রেন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে টিকে থাকুক, তবে আমাদের বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে—২০১৪ সালের আগের সীমানায় ফেরা সম্ভব নয়।” তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি এই অবাস্তব লক্ষ্য তাড়া করা হয়, তবে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
স্থায়ী শান্তির জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে হেগসেথ বলেন, ভবিষ্যতে যাতে নতুন করে যুদ্ধ না বাঁধে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তবে তিনি পরিষ্কার করে জানান, ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় না এটা বাস্তবে সম্ভব।” অথচ ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর বাইডেন প্রশাসন ও ন্যাটোর অন্যান্য নেতারা বলেছিলেন, ইউক্রেনের পশ্চিমা সামরিক জোটে যোগদান ‘অনিবার্য’।
এই পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাবে, তবে তিনি ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ, তেল ও গ্যাসের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অধিকারের নিশ্চয়তা চান। এই লক্ষ্যে তিনি দেশটির ট্রেজারি সেক্রেটারি থেকে লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা