ইইউর ওপর শুল্ক বসাচ্ছেন ট্রাম্প, বিশ্ব বাণিজ্যে উত্তেজনা!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর খুব শিগগিরই শুল্ক আরোপ করা হবে। তার মতে, ইইউ দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে অন্যায্য সুবিধা নিয়ে আসছে এবং এখন সময় এসেছে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর।
ট্রাম্প বলেন, “এরা আমাদের কাছ থেকে গাড়ি নেয় না, কৃষিপণ্য নেয় না, প্রায় কিছুই নেয় না। অথচ আমরা তাদের থেকে লাখ লাখ গাড়ি, খাদ্য ও কৃষিপণ্য আমদানি করি। এটি অন্যায্য বাণিজ্য সম্পর্ক।” তিনি আরও বলেন, “সময়সীমা নির্ধারণ করেছি কিনা, তা বলছি না। তবে এটি খুব শিগগিরই কার্যকর হবে।”
বিশ্বের প্রায় সব দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে ঠকিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমাদের প্রায় প্রতিটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এটি পরিবর্তন করতে যাচ্ছি।”
ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইইউর পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে। তারা জানিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করে, তবে তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা বাণিজ্য সংক্রান্ত অন্যায্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমরাও মার্কিন পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করব।”
এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে বিশ্ব বাণিজ্য বাজার। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে তা বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে বিনিয়োগ কমে যেতে পারে, ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে এবং বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।
এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসন কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় কানাডা জানিয়েছে, তারা আইনি পদক্ষেপ নেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। মেক্সিকোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে এই বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এখন দেখার বিষয়, ইইউ এই ঘোষণার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয় এবং এর পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।