আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন গুজরাটি পরিচালক মহেশ কালাওয়াডিয়া
গন্তব্য ছিল চেনা, দিনের মতোই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দেখা করতে। কিন্তু আর ফেরা হল না। না-ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন গুজরাটের উদীয়মান চলচ্চিত্র পরিচালক মহেশ কালাওয়াডিয়া ওরফে মহেশ জিরাওয়ালা। আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় সরাসরি জড়িত না থাকলেও, দুর্ঘটনার প্রভাবে প্রাণ হারালেন মাত্র ৩৪ বছর বয়সে।
গত ১২ জুন সকালে আহমেদাবাদের ল গার্ডেন এলাকা থেকে কাউকে দেখতে বেরিয়েছিলেন মহেশ। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়, এবং কোনো খোঁজ না মেলায় পরিবার থানায় মিসিং ডায়েরি করে। পুলিশ তদন্তে নামে এবং প্রায় ১০০টির বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। একপর্যায়ে তার মোবাইলের শেষ লোকেশন পাওয়া যায় বিমান দুর্ঘটনাস্থলের মাত্র ৭০০ মিটার দূরে। একইসঙ্গে শাহিবাগ অঞ্চলে পাওয়া যায় পুড়ে যাওয়া একটি স্কুটার, যার ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর মহেশের নামে রেজিস্ট্রার্ড।
পরিবার তখনো আশাবাদী ছিল—মহেশ বেঁচে আছেন, ফিরবেন। কিন্তু সব আশা ভেঙে দেয় ডিএনএ রিপোর্ট। পোড়া দেহাংশের নমুনা মহেশের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় পুলিশ নিশ্চিত করে—তিনিই ওই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
গুজরাটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রতিশ্রুতিশীল নির্মাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন মহেশ। চিত্রনাট্য লেখা, প্রযোজনা এবং পরিচালনার কাজে ছিলেন সক্রিয়। সামনে তার বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রজেক্টে কাজ করার কথা ছিল। এক আকস্মিক দুর্ঘটনায় থেমে গেল সেই স্বপ্নের পথচলা।
পরিবার শোক প্রকাশ করে জানিয়েছে, “স্বপ্ন দেখতেন অনেক। প্রতিদিন কাজ নিয়েই মগ্ন থাকতেন। এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না, ও নেই।”
১২ জুন আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া সেই ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা শুধু বিমানে থাকা যাত্রীদের নয়, আশেপাশে থাকা অনেক নিরীহ প্রাণেরও জীবন কেড়ে নিয়েছে। মহেশ কালাওয়াডিয়া তারই এক নির্মম উদাহরণ।