আসিফ, হাসনাত ও সারজিসের ফেসবুক আইডির কী হলো?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কিত কিছু ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতাদের ফেসবুক আইডি অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ঘটনা। বুধবার বিকেল থেকে এই ব্যক্তিদের ফেসবুক আইডি সার্চ করেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই ধারণা করছেন, এই আইডিগুলো ডিজেবল হয়ে গেছে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক দাবি করেছেন, তাদের আইডি ডিজেবল বা নষ্ট হয়নি, বরং কিছু সমস্যা হওয়ায় তারা নিজেদের আইডি ডিঅ্যাকটিভেট করে রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, তাদের আইডি ডিজেবল করার চেষ্টা করছে এমন কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে সাইয়েদ আবদুল্লাহ জানান, গতকাল বিকেলে তিনি একটি মেসেজ পেয়েছিলেন, যাতে জানানো হয়েছিল যে তার আইডি ডিজেবল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি সিকিউরিটি সেটিংসে গিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরও আইডি সাসপেন্ড হয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, এই কাজের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাইবার টিম জড়িত, এবং তারা সংঘবদ্ধভাবে আন্দোলনে যুক্ত নেতাদের টার্গেট করে আইডি সাসপেন্ড করেছে।
এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক নেতা তাদের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভেট করে রেখেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমও তার ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভেট করার কথা জানান, বিশেষ নিরাপত্তা কারণে।
এদিকে, “Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce” নামের একটি পেজ দাবি করেছে, তারা বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের আইডি ডিজেবল করেছে। এতে সাইয়েদ আবদুল্লাহ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি সহ বেশ কয়েকজন নেতার নাম রয়েছে।
এই পরিস্থিতি ছাত্র আন্দোলন এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে, বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে এই ধরনের আক্রমণ কীভাবে সম্পাদিত হচ্ছে।