সিরিয়ার নতুন প্রশাসন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থকদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তথ্যদাতা, আসাদপন্থী যোদ্ধা এবং সাবেক সেনা সদস্যরা রয়েছেন।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান জানান, দামেস্ক ও এর আশপাশের এলাকা, হোমস, হামা, তারতুস, লাতাকিয়া এবং দেইর এজোর থেকে এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, হামা ও লাতাকিয়া প্রদেশে অভিযান চালিয়ে আসাদপন্থী মিলিশিয়াদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে ইরানপন্থী যোদ্ধা, নিম্নপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং সাবেক শাসকের তথ্যদাতা, যাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে কেবল সামরিক বিচার বিভাগের সাবেক প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ কানজো হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সাইদনায়া কারাগারে হাজার হাজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে বন্দিদের ওপর নির্যাতন এবং তাৎক্ষণিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য দেখা গেছে। তবে এসব ভিডিওর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
রামি আবদেল রহমান জানিয়েছেন, অভিযানে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। কিছু গ্রেপ্তারকৃত তথ্যদাতাকে অবিলম্বে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার নতুন প্রধান আনাস খাত্তাব ঘোষণা দিয়েছেন, সাবেক শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়, দুর্নীতি এবং জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অত্যাচার নির্মূল করা হবে। তিনি নিরাপত্তা সংস্থার পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এইচটিএস বিদ্রোহীরা গত ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক দখল করে দ্রুত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আসাদ সরকারকে উৎখাত করে এবং তাঁকে পালিয়ে রাশিয়ায় যেতে বাধ্য করে।
সূত্র: এএফপি