সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ উপকূলে একটি হালকা বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন পাকিস্তানি পাইলট ও ভারতীয় এক চিকিৎসক। রোববার দুপুরে জাজিরাহ এভিয়েশন ক্লাবের এ বিমানটি উড্ডয়নের কিছু সময় পরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
নিহত ভারতীয় চিকিৎসক সুলায়মান আল মজিদ (২৬) সংযুক্ত আরব আমিরাতেই জন্মগ্রহণ ও বড় হয়েছেন। তিনি স্থানীয়ভাবে একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে বিমানটির পাইলট ছিলেন ২৬ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি নারী।
মজিদের বাবা মাজিদ মুকাররম বলেন, তার ছেলে দর্শনীয় স্থান দেখার উদ্দেশ্যে হালকা বিমানটি ভাড়া করেছিলেন। তার ছোট ভাইও একই যাত্রায় পরবর্তী ফ্লাইটে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিমানটি রেডিও যোগাযোগ হারায় বলে পরিবারকে জানানো হয়। পরে জানানো হয়, এটি জরুরি অবতরণ করেছে এবং আরোহীদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা যখন হাসপাতালে পৌঁছাই, তখন আমাদের বলা হয় তাদের অবস্থা গুরুতর। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টার পরও তারা মারা যান।"
দুর্ঘটনাটি রাস আল খাইমাহর কোভ রোটানা হোটেলের কাছাকাছি উপকূল এলাকায় ঘটে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা বিমানটি বিধ্বস্ত হতে দেখেছেন। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতায় স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করে।
জেনারেল সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানটি জাজিরাহ এভিয়েশন ক্লাবের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটি বা আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে এটি ঘটতে পারে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত চিকিৎসক সুলায়মান আল মজিদ একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ চিকিৎসক ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারসহ পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে নিহত পাইলটের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি। তার পরিবারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ দুর্ঘটনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাধারণ নিরাপদ বিমান পরিচালনার রেকর্ডে একটি দুঃখজনক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হলো।