আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এই হামলার ঘটনা ঘটে। আফগান তালেবান সরকারের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, পাকিস্তানের এই হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার বা সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের এই হামলার লক্ষ্য ছিল আফগানিস্তানে অবস্থানরত পাকিস্তানি তালেবানদের সন্দেহভাজন আস্তানা। হামলায় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন তালেবানি জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকতিকা প্রদেশের একটি পাহাড়ি এলাকায় এই বিমান হামলা চালানো হয়। তবে তারা স্পষ্ট করেননি যে হামলাটি কীভাবে পরিচালিত হয়েছে বা যুদ্ধবিমান আফগানিস্তানের কত গভীরে প্রবেশ করেছিল।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের দাবি, হামলায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোকজন হতাহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই ওয়াজিরিস্তান থেকে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তু। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "পাকিস্তানের এই হামলা আন্তর্জাতিক নীতির লঙ্ঘন এবং এটি একটি স্পষ্ট আগ্রাসনের উদাহরণ।"
পাকিস্তান এই হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মার্চ মাসে একটি অনুরূপ হামলার পর পাকিস্তান দাবি করেছিল যে, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আস্তানার ভিত্তিতে এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এই সাম্প্রতিক হামলা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়। এটি শুধু প্রতিবেশী সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না, বরং এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়ে তুলছে।