আজ ২৩শে মার্চ, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দিবস। প্রতি বছর এই দিনে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) ও বিভিন্ন দেশ জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে। এই দিবসটি মূলত আবহাওয়া ও জলবায়ুর গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পালন করা হয়।
১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত বৈশ্বিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য নির্ধারিত হয়। বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমেই বেড়ে চলেছে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা ও দাবদাহের মাত্রা বৃদ্ধি করছে।
২০২৫ সালের বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো "সম্মিলিতভাবে আগাম সতর্কবার্তা প্রদানের বাধা দূরীকরণ"। এই প্রতিপাদ্যর মাধ্যমে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বরফ গলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচণ্ড গরম বা শীত দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশে ঘন ঘন বন্যা, নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাস, এবং দীর্ঘস্থায়ী খরার ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনেরই ফলাফল।
১. বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন
২. প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্বাভাস প্রযুক্তির উন্নয়ন
3. টেকসই জ্বালানি ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ কমানো
4. বৈশ্বিকভাবে একযোগে জলবায়ু নীতি বাস্তবায়ন
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা কেবল ভবিষ্যতের জন্য নয়, এটি বর্তমানে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। তাই ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে সচেতন হওয়া এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এ বিষয়ে প্রতিটি দেশকেই এগিয়ে আসতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করা যায়।