আনন্দ, উত্তেজনা নিয়ে গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা
গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন, যা তারা ‘ঐতিহাসিক’ মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করছেন। এই পরিস্থিতি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা অথবা বিজয়ের দিন হিসেবে তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলের বিবৃতির পর, যারা গাজার উত্তরাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল, তাদের গন্তব্যে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর, দুই দিন ধরে ক্রসিংগুলোতে অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উচ্ছ্বাস এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েল সোমবার সকাল ৭টা থেকে গাজাবাসীদের হেঁটে উত্তরাঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার পর, হাজার হাজার মানুষ ভোর ৫টার মধ্যে প্রবেশপথগুলোর সামনে জড়ো হয়ে যায়, শীত উপেক্ষা করে। গত ১৫ মাসের যন্ত্রণাকে পিছনে রেখে তারা এগিয়ে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন।
ফিলিস্তিনিরা এই মুহূর্তটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করছেন, এবং এটা তাদের কাছে যুদ্ধবিরতির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। হামাস গাজার উত্তরাঞ্চলে তাদের ফিরে আসার ঘটনাকে ‘বিজয়’ এবং ইসরায়েলিদের পরাজয় বলে উল্লেখ করেছে।
তারা বলেছে, ‘বাস্তুচ্যুত করে ফেলার পর ফিলিস্তিনিরা ফিরে গিয়ে তাদের ভূমির সঙ্গে সম্পর্ক নিশ্চিত করেছে, আর এটা দখলদারদের ব্যর্থতার এক শংসাপত্র।’
যুদ্ধের ১৫ মাসে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে, প্রায় ৭০-৮০% বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষ তাদের বাড়ি আর খুঁজে পাবেন না। তবে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরতে শুরু করা ফিলিস্তিনিরা এই মুহূর্তটিকে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই মনে করছেন।