বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সম্পর্কে তার কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান তার পোস্টে উল্লেখ করেন, "আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না।" তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক অতিক্রম করছে। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর আমরা একটি নতুন সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় আছি।"
জামায়াত আমিরের মতে, দেশের ১৮ কোটি নির্যাতিত মানুষের প্রধান দাবি হলো গণহত্যাকারীদের বিচার, ২০২৪ সালের শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত ও পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই।"
বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, "দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভিতরে এবং বাইরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।"
ডা. শফিকুর রহমান আরও মন্তব্য করেন যে, "আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই।" তার মতে, আওয়ামী লীগ অতীতে দেশকে একটি জাহান্নামে পরিণত করেছিল এবং তাদের অপরাধের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। তিনি বলেন, "১৯৯৬ সালে অতীতের অপরাধের জন্য তারা হাতজোড় করে বিনাশর্তে মাফ চেয়ে বলেছিল, আমাদের একবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ দিয়ে দেশপ্রেম প্রকাশের সুযোগ দিন।" তবে ক্ষমতায় এসে তারা জনগণকে হতাশ করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের এই মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে জনগণের আপত্তি, গণহত্যার বিচার এবং শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এটি স্পষ্ট যে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণের প্রত্যাশা ও দাবিগুলো পূরণে রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।