যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তার সাম্প্রতিক ঘোষণাগুলো বিশ্ব অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেক্সিকো এবং কানাডার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া অর্থনীতিকে সংহত করলেও বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
গাজার পরিস্থিতি নিয়েও ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও তিনি একে দীর্ঘস্থায়ী করার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। রোববার থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির পরেও ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে খুব বেশি আশাবাদী নন। গাজার জনগণের জন্য স্থায়ী সমাধান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতা সত্ত্বেও ট্রাম্প তার সংশয়বাদী মনোভাব স্পষ্ট করেছেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো যুদ্ধ বন্ধ করা। তিনি শপথ নেওয়ার পরপরই ঘোষণা দিয়েছেন যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাবেন। পাশাপাশি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনার পরিকল্পনা করেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি করতে সক্ষম হবেন এবং দ্রুত এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এ ধরনের কার্যক্রম তার "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতির অংশ হলেও বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রে তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তার অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, তবে সেগুলোর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনো অনিশ্চিত।