যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত নিতে রাজি না হওয়া দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের বর্ষসেরা ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, “যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানাবে, সেসব দেশের সঙ্গে আমরা ব্যবসা করব না। তাদের পণ্য রপ্তানিতে চড়া শুল্ক আরোপ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য করা কঠিন করে তুলব।”
তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, অভিবাসী বিতাড়নের ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন। অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন এবং সীমান্ত নিরাপত্তায় জরুরি অবস্থা জারি করার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্প বলেন, “অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করব। এটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বলে মনে করি। আইনসঙ্গত উপায়ে আটক কেন্দ্র নির্মাণসহ যা করা দরকার, তা করব।”
তবে, মার্কিন ‘পোস্ট কমিটাস অ্যাক্ট’-এর আওতায় দেশের ভেতরে সামরিক বাহিনীর ব্যবহার নিষিদ্ধ। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প দাবি করেন, “যখন দেশের ওপর আগ্রাসন হয়, তখন এই আইন কার্যকর নয়। আমি যেকোনো বাধা দূর করতে প্রস্তুত।”
অভিবাসীদের আটক রাখতে প্রয়োজন হলে নতুন আটক কেন্দ্র বানানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তবে ট্রাম্প আশা করেন, তাদের বেশি দিন আটক রাখার প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, “আমি চাই না তারা ২০ বছর ধরে আটক শিবিরে বসে থাকুক। তাদের দেশেই ফেরত পাঠাব।”
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প অভিবাসী ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিয়ে বলেছিলেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিবাসী বিতাড়ন কর্মসূচি হবে।”
তার এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সমালোচকরা ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শঙ্কা বলে অভিহিত করেছেন। তবে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন।