নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়টা এনে দিয়েছিলেন যিনি, সেই সোফি ডিভাইন এবার বলছেন বিদায়ের কথা। ২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী কিউই দলের অধিনায়ক জানালেন, আসন্ন ভারত-শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের পর তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবেন। দীর্ঘ ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় জানানোর এই সিদ্ধান্তে কিউই ক্রিকেটে তৈরি হয়েছে আবেগঘন পরিবেশ।
৩৫ বছর বয়সী ডিভাইন জানিয়েছেন, তিনি শুধু তখনই টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন, যদি তাকে সেই ফরম্যাটে খেলার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তার চাহিদা এখনও যথেষ্ট, আর তাই ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে সে দিকেই মনোযোগ দিতে চান তিনি। ফলে জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত দেখা যাবে না তাকে, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
অবসরের ঘোষণা প্রসঙ্গে সোফি ডিভাইন বলেন, “এটাই সরে দাঁড়ানোর সঠিক সময় বলে মনে হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) আমাকে সমর্থন দিয়েছে, এজন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। কিন্তু তার আগে আমি নিশ্চিত করতে চাই, হোয়াইট ফার্নসদের জন্য যা কিছু দিতে পারি, সব উজাড় করে দেব।”
এই ঘোষণা এল এমন এক সময়ে, যখন নিউজিল্যান্ড নারী দলের ১৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশের ঠিক আগেই। ডিভাইনই এখনও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এবং তার নেতৃত্বেই হোয়াইট ফার্নস খেলবে আসন্ন বিশ্বকাপে। এরপরই দলটিকে খুঁজতে হবে নতুন অধিনায়ক।
২০০৬ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক হয় সোফি ডিভাইনের। এরপর দুই দশকের কাছাকাছি সময় ধরে ক্রিকেটে রেখেছেন উজ্জ্বল উপস্থিতি। সুজি বেটসের পর ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা কিউই নারী ক্রিকেটার তিনি। রান সংগ্রাহকের তালিকায় এখন চতুর্থ স্থানে থাকলেও ৪০০০ রান পূর্ণ করে শিগগিরই উঠে আসবেন তৃতীয় স্থানে।
ডিভাইনের নামের পাশে রয়েছে ৮টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি, যা কিউই নারী ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শুধু ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও তার কৃতিত্ব ঈর্ষণীয়। ওয়ানডে ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের মাত্র দুজন নারী ক্রিকেটার আছেন যাদের ১০০ বা তার বেশি উইকেট রয়েছে— তাদের একজন সোফি ডিভাইন, অন্যজন লিয়া তাহুহু।
সফল এক ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়ে দাঁড়িয়ে সোফি ডিভাইন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু সরে যাচ্ছেন, থেমে যাচ্ছেন না। ভবিষ্যতের তরুণীদের জন্য তিনি রেখে যাচ্ছেন একটি অনুপ্রেরণার পথ।