মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| রাত ১২:৪৬

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের শিশু শ্রম বন্ধে আইন ও দারিদ্র বিমোচনের গুরুত্বে জোর

প্রতিবেদক
staffreporter
জুন ২২, ২০২৫ ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের শিশু শ্রম বন্ধে আইন ও দারিদ্র বিমোচনের গুরুত্বে জোর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের শিশু শ্রম বন্ধে আইন ও দারিদ্র বিমোচনের গুরুত্বে জোর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, যে দেশে আইন দিয়ে যৌতুক বা বাল্যবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি, সেখানে শুধুমাত্র আইন দিয়ে শিশুশ্রম বন্ধ করা খুবই কঠিন। শিশুশ্রম কোনোভাবেই সম্মানজনক নয় এবং এটি শিশুর মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করে। কোনো সমাজে শিশুশ্রম থাকলে তার অর্থনীতির নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

শনিবার ফেডারেশন অব ঢাকা কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফডিসি) এর আয়োজনে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস–২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য ও শিশুশ্রম গভীরভাবে জড়িত। তাই শিশুশ্রম নিরসনে দারিদ্র বিমোচনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাষ্ট্র, সমাজ, প্রাইভেট সেক্টর ও উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে, এককভাবে রাষ্ট্র বা সমাজের ওপর দায়িত্ব চাপানো সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান, আইএলও বাংলাদেশের শ্রম প্রশাসন বিভাগের প্রধান নিড়ান রামজুঠান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের সময় আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে বিগত প্রকল্পগুলো দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সফল হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান সরকার পরিবর্তনের পর দুর্নীতির জায়গায় অন্য কোনো দুর্নীতির প্রবেশ হবে না। শিশুশ্রম নির্মূলে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।

অন্যদিকে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের দল পরাজিত হয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দল চ্যাম্পিয়ন হয়। বিচারক হিসেবে ছিলেন উপসচিব রোকেয়া পারভীন জুঁই, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাবেক বিতার্কিক ড. এস এম মোর্শেদ, চাইল্ড লেবার বিশেষজ্ঞ আফজাল কবির খান ও সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত রিপন। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে ৫০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা, ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি