অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেডের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, প্রতিষ্ঠানটি বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে প্রায় ১০৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে তৈরি পণ্য বিদেশে রফতানি না করে খোলা বাজারে বিক্রি করেছে, যা শুল্কফাঁকির অভিযোগের জন্ম দিয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির, যিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্য, তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালের পানামা পেপার্সে তার নাম উঠে আসে, যা বিদেশে অফশোর কোম্পানি স্থাপন ও অর্থপাচারের সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বর্তমানে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
এছাড়া, শরীফ জহিরের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে। এক ভুক্তভোগী, আক্তার হোসেন, অভিযোগ করেছেন যে, শরীফ জহির ও তার সহযোগিরা অবৈধভাবে তার জমি দখল করার চেষ্টা করছেন এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তার প্রতিষ্ঠান অনন্ত টেরেসেসের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়া, ২০১৯ সালে আদমজী ইপিজেডে অনন্ত গ্রুপের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নির্যাতন ও ছাটাইয়ের অভিযোগে মানববন্ধন হয়, যা ওই সময় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শরীফ জহির ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে, এবং তারা কর ফাঁকি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করছে। এ ছাড়া, দুদক এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে এবং আসন্ন মে মাসে এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান আশা করা হচ্ছে।