অধিনায়ক গিলের টানা দুই সেঞ্চুরি, রেকর্ডবুকে নতুন ইতিহাস
এশিয়ার বাইরে শুভমান গিলের সেঞ্চুরির খরা অবশেষে কেটে গেছে। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে ইংল্যান্ড সফরে পরপর দুই টেস্টেই সেঞ্চুরি করে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই প্রতিভাবান ব্যাটার। ইংলিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন গিলের দুর্দান্ত ইনিংসেই ভর করে ভারত স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ৫ উইকেটে ৩১০ রান।
বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ভারত। মাত্র ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন লোকেশ রাহুল (২)। এরপর টেস্ট দলে সাত বছর পর ফেরা করুন নায়ারকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল গড়েন ৮০ রানের জুটি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাঁহাতি ব্যাটার জয়সওয়াল ছিলেন সেঞ্চুরির পথে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত থামেন ৮৭ রানে। এর আগে করুন নায়ারও ইনিংস বড় করতে না পেরে আউট হন ৩১ রানে।
এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। আগের টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা ঋষভ পান্ত আউট হন ২৫ রানে, আর নতুন মুখ নিতীশ কুমার রেড্ডি ফেরেন মাত্র ১ রানেই। ৫ উইকেটে ২১১ রান তুলেছিল ভারত তখন। সেখান থেকে গিল ও রবীন্দ্র জাদেজা দলের হাল ধরেন এবং দিনের বাকিটা সময় নিরাপদে পার করেন। তাদের অপরাজিত জুটিতে এসেছে ৯৯ রান। দিন শেষে গিল ১১৪ এবং জাদেজা ৪১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
গিল তার শতরান পূর্ণ করেন দিনের শেষ বিকেলে, ১৯৯ বলে। ২১৬ বল মোকাবিলায় ১২টি চার মেরে সাজান টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম শতরান। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম দুই টেস্টেই সেঞ্চুরি করা মাত্র চতুর্থ ভারতীয় তিনি। এই তালিকায় আগে ছিলেন বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাস্কার এবং বিরাট কোহলি। তাঁদের মধ্যে কোহলিই প্রথম তিন টেস্টেই শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছিলেন।
এ ছাড়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করার নজিরও গড়েছেন গিল। তার আগে এই কীর্তি ছিল কেবল দুজন ভারতীয় অধিনায়কের— বিজয় হাজারে (১৯৫১-৫২) এবং মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন (১৯৯০)। অধিনায়কত্বের বাইরে এই কীর্তি আরও দুই কিংবদন্তির— রাহুল দ্রাবিড়ের দুইবার এবং দিলিপ বেঙ্গসরকারের একবার।
শুভমান গিলের এই পারফরম্যান্স কেবল ভারতকে শক্ত ভিতই দেয়নি, বরং তাঁকে বসিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়ে।