অটোয়া চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে ইউক্রেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদারে আহ্বান জেলেনস্কির
ল্যান্ডমাইন ব্যবহার নিষিদ্ধকারী অটোয়া কনভেনশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে সম্প্রতি সই করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নথিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সংসদীয় সিদ্ধান্ত ও জাতিসংঘকে অবহিত করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অটোয়া কনভেনশন, যা ১৯৯৭ সালে চালু হয়, সারা বিশ্বে ভূমিমাইন নিষিদ্ধ করার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। ইউক্রেনের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটি বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে টানা সংঘাতে রয়েছে, যেখানে কৌশলগত কারণে ভূমিমাইনের ব্যবহার বাড়াতে চাইছে কিয়েভ।
এদিকে রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো যখন মস্কোর বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত ১৮ দফা নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে, তখনই রোববার এক ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানান তিনি। জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়ার শক্তি দুর্বল করতে হলে নিষেধাজ্ঞার প্রাধান্য আরও বাড়াতে হবে।”
তিনি আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-৭ গোষ্ঠীর মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদার বিষয়ক একটি চুক্তিতেও ইউক্রেন সই করেছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেন জানিয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ার ব্যাপক বিমান ও ড্রোন হামলায় তাদের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে এবং সেই বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ এই ধ্বংসের বিষয়টি স্বীকার করেছে। রুশ বাহিনী সপ্তাহান্তে প্রায় ৫০০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলেও জানিয়েছে ইউক্রেন, যার ফলে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন এবং বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের এই নতুন পদক্ষেপ এবং চলমান সংঘাত পরিস্থিতি দক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপে আরও উদ্বেগ তৈরি করেছে। অটোয়া চুক্তি থেকে সরে আসা ইউক্রেনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।