অকার্যকর হয়ে পড়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সদস্যবিহীন অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ স্তব্ধ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। ১৬ বছর ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৮ মাস ধরে নেই কোনো চেয়ারম্যান ও সদস্য; যার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো পড়ে আছে অনায়াসে। অধিকারবঞ্চিত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
২০০৭ সালে গঠিত কমিশনটি সরকারি উদাসীনতার কারণে অনেকাংশে অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সর্বোচ্চ ছয় সদস্য পদ শূন্য থাকায় তদন্ত এবং সুপারিশ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা পরিচালনা করলেও, গত ১৬ বছরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর ঘটনার বিরুদ্ধে কমিশন নীরব ছিল।
২০১৩ সালের হেফাজতের সমাবেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এই সময় কমিশন কার্যত মৃদু ভূমিকা পালন করেছে এবং বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা হলেও তাকে যথাযথ ক্ষমতা ও সম্পদ দেয়া হয়নি। এর ফলে অভিযোগ গ্রহণ ছাড়াও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মানবাধিকার কর্মীরা কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।
বর্তমানে কমিশনের সচিব জানান, নিয়োগ প্রসঙ্গে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কমিশনকে কার্যকর ও নিরপেক্ষ করতে জাতীয় ঐকমত্য ও দক্ষ নিয়োগ প্রয়োজন, যাতে সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় কমিশন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।